একটুখানি মন – লিরিক্স, অর্থ ও বিশ্লেষণ | দাগি সিনেমার Heart-touching গান ২০২৫

  • গানটির পরিচিতি
  • “একটুখানি মন” ২০২৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা চলচ্চিত্র “দাগি”-এর একটি রোমান্টিক গান, যা শ্রোতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে প্রকাশের পরপরই। তাহসান খান ও মাশা ইসলামের মিষ্টি কণ্ঠ, সাদাত হোসাইনের আবেগময় কথা এবং সাজিদ সরকারের সুর গানটিকে দিয়েছে এক অনন্য রূপ।
  • এই গানটি ভালোবাসার সহজ অনুভব, মান-অভিমান, এবং ফিরে আসার আকুতিকে সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছে।

একটুখানি মন – ফুল লিরিক্স

একটুখানি মন

তোমার জন্য ফুল কুড়িয়ে নিলে
সাথে খানিক ভুল কুড়িয়ে নিলে
কাজল চোখে তাকিয়ে যদি হাসি।

তোমায় ভেবে সন্ধ্যা নামে যদি
চোখের কোলে কান্না জমায় নদী
সব অভিমান ভুলে ফিরে আসি।

আমায় ছেড়ে কোথায় যাবে তুমি
বলবে কে আর এমন করে ভালোবাসি।

আমায় দিও একটুখানি ছুঁয়ে
আমায় দিও একটুখানি মন

এই জনমের জন্ম মৃত্যু জানে
তুমি ছাড়া শূন্য এ জীবন

এই জনমের জন্ম মৃত্যু জানে
তুমি ছাড়া শূন্য এ জীবন

আরও সুন্দর রোমান্টিক গানের লিরিক্স দেখতে contentlyrics ভিজিট করুন। 

গানের অর্থ ও বিশ্লেষণ

“একটুখানি মন” গানটি মূলত একজন প্রেমিক বা প্রেমিকার গভীর আকুতি — যে খুব সামান্য হলেও ভালোবাসা, একটুখানি ছোঁয়া, একটুখানি মন পেতে চায় তার প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে। এখানে ভালোবাসা চাওয়ার আবেদনটি নরম, সরল কিন্তু ভীষণ আবেগময়। গানের প্রতিটি পংক্তিতে ভালোবাসার অপূর্ণতা, অপেক্ষা, ও চুপচাপ কষ্ট পাওয়ার অভিব্যক্তি সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।

এই ধরণের গান মানুষের ব্যক্তিগত অনুভূতির সাথে খুব সহজে মিলে যায়। অনেকেই হয়তো জীবনে এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন, যেখানে তারা খুব বেশি কিছু চায়নি—শুধু একটু মন, একটু সময়, একটু অনুভব চেয়েছেন। এ কারণেই গানটি এতটা জনপ্রিয় হয়েছে এবং একে সময়ের অন্যতম সেরা প্রেমের গান হিসেবে ধরা হচ্ছে।

গানটিতে কথা, সুর ও কণ্ঠের অপূর্ব মিলন শ্রোতাদের আবেগ ছুঁয়ে যায়। গানের ভাষা সহজ, কিন্তু এর আবেগ জটিল এবং বহুস্তরবিশিষ্ট। গানটি শুনে অনেকেই তাদের অতীত প্রেম, ভুল বোঝাবুঝি, কিংবা মিসিং মোমেন্টের কথা স্মরণ করেন। এটি কেবল একটি গান নয়, বরং অনেকের জন্য একটি অনুভব, একটি না বলা কথার প্রতিধ্বনি।

গায়ক ও সৃষ্টিশীল টিম

গায়ক: তাহসান খান ও মাশা ইসলাম – যাদের কণ্ঠে ভালোবাসার সূক্ষ্ম অনুভূতি জীবন্ত হয়ে উঠেছে।

গীতিকার: সাদাত হোসাইন – তার লেখনীতে একদিকে যেমন কাব্যিক সৌন্দর্য আছে, অন্যদিকে প্রেমের ব্যথাও নিখুঁতভাবে ফুটে উঠেছে।

সুরকার: সাজিদ সরকার – তিনি এমন এক সুর তৈরি করেছেন যা মন ছুঁয়ে যায়, থেকে যায় হৃদয়ের গভীরে।

পরিচালক: শিহাব শাহীন – যিনি গানটির চিত্রায়নকে করেছেন বাস্তবমুখী ও আবেগপূর্ণ।

চলচ্চিত্র: দাগি

প্রকাশনা: SVF Alpha-i | Chorki

🎬 গানটি দেখুন / শুনুন
👉 YouTube লিংক:

কেন এই গানটি জনপ্রিয়?

“একটুখানি মন” গানটি জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কয়েকটি মূল কারণ রয়েছে। এই গানটির কথা ও সুরে একধরনের nostalgic রোমান্স কাজ করে—যা শ্রোতাদের অতীত প্রেম, আবেগ ও স্মৃতিকে নাড়া দেয়। গানের প্রতিটি লাইনে ভালোবাসার এক কোমল আবেদন লুকিয়ে আছে, যা একদিকে যেমন মনকে ছুঁয়ে যায়, অন্যদিকে তেমনি স্মৃতির দরজাও খুলে দেয়।

এই গানটি আরও প্রাণ পেয়েছে তাহসান খানের আবেগঘন কণ্ঠে তাহসানের কণ্ঠে এমন একধরনের বিষণ্ন আবেগ (melancholy) আছে, যা প্রেমের গানকে আরও গভীর করে তোলে। যা প্রেমের গানকে আরও গভীর করে তোলে। পাশাপাশি, মাশা চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রীর অভিব্যক্তি এতটাই স্বাভাবিক ও হৃদয়স্পর্শী ছিল যে গানটি দর্শকদের কাছে বাস্তব অনুভূতি তৈরি করেছে।

এই গানটি “দাগি” সিনেমার গল্পের আবেগের সাথে এমনভাবে মিশে গেছে যে, গানটি যেন কাহিনির একটি অনিবার্য অংশ হয়ে দাঁড়ায়। সিনেমার ঘটনাপ্রবাহ, চরিত্রের অভিব্যক্তি ও গানের অনুভূতির মধ্যে সামঞ্জস্য শ্রোতাদের এক গভীর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করে।

এর বাইরে, গানটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। বিশেষ করে Chorki প্ল্যাটফর্মে যারা সিনেমাটি দেখেছেন, তারা গানটি নিয়ে আবেগঘন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকেই গানটির অংশ বিশেষ রিল ভিডিওতে ব্যবহার করেছেন, যা গানটির জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে তোলে।

উপসংহারঃ


“একটুখানি মন” শুধুমাত্র একটি গান নয় — এটি এক মধুর আবেগ, এক নরম অনুরোধ, এক প্রেমের চাহনি। যারা প্রেমে পড়েছেন, যাদের মনে প্রথম ভালোবাসার স্মৃতি আজও উজ্জ্বল, অথবা যারা কারো ভালোবাসা হারিয়ে কষ্টে আছেন — তাদের হৃদয়ে এই গান এক গভীর দাগ কাটে। এই গান তাদের আবেগের সঙ্গী হয়ে ওঠে, এক নিঃশব্দ বোঝাপড়ার ভাষা হয়ে দাঁড়ায়।

বাংলা সিনেমার গানে যারা রোমান্স খুঁজেন, তাদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি must-listen ট্র্যাক। গানটির কথার গভীরতা, সুরের মাধুর্য এবং কণ্ঠের আবেগ মিলিয়ে এটি বাংলা রোমান্টিক গানের একটি অনন্য সংযোজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *